পার্বত্যাঞ্চলে মাশরুম চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
আব্দুল্লাহ আল-মামুন, খাগড়াছড়ি : স্বল্প পুঁজিতে
অধিক লাভবান হওয়ায়। মাশরুম চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছলতা
অর্জন করেছেন খাগড়াছড়ি শহর এলাকার অনেকে। লাকী চাকমা জানান, নিম্ন
বেতনভূক্ত স্বামীর আয়ের ওপর সংসারের ব্যয় মেটানো খুবই কষ্টকর হতো। স্থানীয়
কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তায় কম খরচে মাশরুম চাষ করে তাদের সংসারে
আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। এভাবে একে অপরের দেখাদেখিতে কম খরচে অধিক লাভবান
হওয়ায় এখানকার মানুষ এখন মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
কৃষি অধিদফতর জানায়, সাধারণ মানুষকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষে
উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক সাফল্যও
আসছে। নিজেদের দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্নকর্মসংস্থান সৃজন করে বেকারত্বের
অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পার্বত্যাঞ্চলের বহু বেকার ও নিম্নবিত্তের লোকজনসহ
বেকার যুবক-যুবতী মাশরুম চাষে সম্পৃক্ত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের
উপজাতি জনগোষ্ঠীর কাছে মাশরুম স্থানীয়ভাবে ওল নামে পরিচিত। তাদের ঐতিহ্যগত
প্রিয় একটি খাদ্যও এ মাশরুম। মাশরুম খাদ্য হিসেবে যে গুণ ও সুস্বাদু সে
সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা না থাকায় আগে কদর না থাকলেও এখন এটি স্থানীয়
বাঙালিদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মাশরুম একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এখন
পার্বত্যাঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ হচ্ছে। মাশরুম চাষ করে স্বল্প
পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ার এমন ধারণা দিতে কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে
কর্মশালার আয়োজনসহ ব্যাপকহারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে
পার্বত্য এলাকার লোকজন স্বল্প পরিসরে মাশরুম চাষ শুরু করেছে। খুব কম জায়গায়
মাশরুম চাষ করে নিজেদের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি
কর্মকর্তারা। তারা জানান, নিজেদের ঘরের আঙিনায়, ঘরের ভেতরে টেবিলের নিচে
ছোট ছোট মাচাংঘর বানিয়ে তাতে মাশরুম চাষ করা খুব সহজ। এ কারণে অনেকেই
নিজেদের বাড়িঘরে মাশরুম চাষ শুরু করেছেন। এতে করে নিজেদের সবজির চাহিদা
পুরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ও হচ্ছে বলে চাষীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় কৃষিবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মাশরুম দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত
রকমারি নাশতা বানানো যায়। মাত্র ১০ টাকার স্পোর থেকে মাশরুম উৎপাদন করে দেড়
থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
Source: http://www.dailysangram.com
No comments:
Post a Comment