Pages

Tuesday, June 3, 2014

বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে রপ্তানী করে অর্থ উপার্জন সম্ভব ।। দক্ষিণ চট্টগ্রামে মাশরুম চাষ এখন জনপ্রিয়

বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে রপ্তানী করে অর্থ উপার্জন সম্ভব ।। 
দক্ষিণ চট্টগ্রামে মাশরুম চাষ এখন জনপ্রিয়



আলমগীর আলম ।। পটিয়া
পুষ্টি, ঔষুধি গুণে ভরা হারবাল সবজি হিসেবে খ্যাত মাশরুম চাষ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে বহু গুণে। ইতোমধ্যে অনেকে এ মাশরুম চাষ করে সফলতার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বিদেশেও রফতানী করছে মাশরুম। কম সময়ে স্বল্প পুঁজিতে মাশরুম চাষে সফলতা আসায় মাশরুম চাষের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সখ করেও অনেকে নিজ বাড়ীতে মাশরুম চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবেও বাড়তি স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে।
মাত্র স্বল্পসময়ের মধ্যে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে পুষ্টিগুণে সম্মৃদ্ধ এই মাশরুম চাষ। উপজেলা পর্যায় সরকারীভাবে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্প পুঁজির ব্যবস্থা করা গেলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার বেকারের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করাও সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মাশরুম চাষীরা।
মাশরুম প্রশিক্ষনার্থী আনসারুল হক জানান মাশরুম এক প্রকার উদ্ভিদ, ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতার মত দেখতে। মাশরুম নিয়মিত খেলে ক্যানসার, উচ্চ রক্ত চাপ, হৃদরোগ, ব্রংকাইটিস, এজমা, জন্ডিস, রক্ত শূন্যতা, যৌন অক্ষমতা, কিডনি, আলসার, পাইলস, বন্ধ্যাত্ব, ডেংগু জ্বর, প্রভৃতি জটিল রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়া মাশরুম টনিকের মত মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরে জমে থাকা কোলেষ্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে উন্নত বিশ্বে মাশরুমকে দেয়া হয় আলাদা মর্যাদা ও গুরুত্ব।
চীন, জাপানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে দীর্ঘ জীবন লাভের খাবার হিসেবে মাশরুমের কদর বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ। স্যুপ, মাছ, ফ্রাই, মাংস, ডিম, সবজি, নুডুল্‌স, ওমলেটকারীসহ বিভিন্ন খাদ্যের সাথে মাশরুম খাওয়া যায়। বর্তমানে দেশের নামী-দামী ফাস্ট ফুডের দোকানে মাশরুমের খাদ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা মীম মাশরুম জোনের স্বত্ত্বাধিকারী হাজী আবু ছালেহ জানান ২০০৪ সাল থেকে তারা বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছে। বর্তমানে তারা দৈনিক ৩০-৩৫ কেজি মাশরুম উৎপাদন করে থাকে। এছাড়া মাশরুমের তৈরী খাদ্য সামগ্রী বাণিজ্যিকভাবে তৈরী করছে। এর মধ্যে মাশরুম আচার, জেলী, সস, অন্যতম। তিনি জানান, সরকারীভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বিদেশে মাশরুম রপ্তানী করার ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি। ফলে তাদের ঢাকায় গিয়ে মাশরুম বিদেশে রপ্তানী করতে সীমাহিন কষ্ট পেতে হয়। এ ব্যাপারে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও সহযোগিতা দেয়ার কথা বললেও তা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাশরুম চাষ গ্রাম পর্যায়ে মানুষের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাশরুম প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু করা গেলেই হাজার হাজার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তেমনি সাধারন মানুষ মাশরুম চাষে এগিয়ে আসবে। তাই সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।




3 comments:

  1. আমি মাশরুম চাষ শিখতে চাই। আমি চট্টগ্রাম শহরে থাকি। দয়া করে কন ঠিকানা বা ফোন নাম্বার জানাবেন।

    ReplyDelete
  2. আমি মাশরমাশ চাষ শিখতে চাই।আমি চট্টগ্রাম থাকি,আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিন বা আমাদের সাথেও ও যোগাযোগ করেন 01827389778,

    ReplyDelete
  3. আপনারা যারা পত্রিকায় প্রতিবেদন দেন মাশরুম সম্পর্কে,দয়া করে তাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা বা নাম্বার দেবেন।

    ReplyDelete